Wednesday 30 September 2015

Article/প্রবন্ধ: বাংলা নাটক ফিরছে নাটকেই


স্বপন ঘোষ চৌধুরী 

হৃদয় বলল, জানো মামা, রাখাল আজ গিরীশ ঘোষের থিয়েটার দেখতে গিয়েছিল। চৈতন্য লীলা। 
রামকৃষ্ণ বললেন - তা যাক না! 
- ওরা খারাপ মেয়ে নিয়ে অভিনয় করে।
- করুক না। সেও অভিনয়, এও অভিনয়। থিয়েটারে লোক শিক্ষা হয়।
প্রায় একশত্রিশ বছর আগে রামকৃষ্ণ বলেছিলেন - "থিয়েটারে লোক শিক্ষা হয়।" এই অমোঘ সত্যটিকে সামনে রেখেই অভিনীত হয় নাটক। নাটকও অভিনয়, যাত্রা পালাও অভিনয়। কিন্তু যাত্রার নাটক আজও নাটকের দলে নাম লেখাতে পারল না, পালা গানই রয়ে গেল। তাই যাত্রার রচয়িতাকে বলা হয় পালাকার। থিয়েটারের রচয়িতাকে বলা হয় নাট্যকার।
লোক শিক্ষাই অভিনয়ের একমাত্র উদ্দেশ্য। ইংরাজি পালা বা নাটকের অনুকরণে অপেরা এদেশে প্রচলিত হয়েছে অনেক পারে। সেই প্রাচীন যুগ থেকে বাংলার গ্রামে গঞ্জে নিয়মিত অভিনীত হত রাম যাত্রা, কৃষ্ণ যাত্রা, পাঁচালি গান। এতে শুধু মাত্র পৌরানিক বিষয় গুলি প্রাধান্য পায়নি, পেয়েছে লোক শিক্ষার বিষয়টিও। কবিগান, বোলানগান, আলকাপ, ঝুমুর ইত্যাদি শুধু মনোরঞ্জনের জন্য।
আর তাই এই ধরনের গানগুলি শুধু মাত্র আসর মাত করেই বছরের পর বছর কাটিয়ে দিয়েছে। আসলে অবসর বিনোদনের জন্যই ওই সব গানের প্রচলন কমতে কমতে প্রায় মুছে গেল যখন মানুষের কাজের চাপ বাড়ল। মানুষ আর সময় নষ্ট করে ওই সব বিষয়ের প্রতি মন দিতে রাজি নয়। অথচ মানুষ শত কাজের মধ্যেও নাটক দেখতে যান। যান, কারণ এর মধ্যে শেখার কিছু থাকে। দুর্ভাগ্য আমাদের, বাংলার সংস্কৃতি জগতের সেরা সম্পদ যাত্রা পালা এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর কিছু দিন পারে হয়তো যাত্রা শব্দটি ভুলে যাবে।
জানা কথা, যাত্রায় সব ধরনের অভিনয় হয়, নাটক বা থিয়েটারে অভিনয় হয় অন্য ধরনের।
যত দূর জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গে প্রথম থিয়েটার অর্থাৎ তিনদিক ঘেরা মঞ্চে অভিনয় শুরু হয়েছিল ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে। পার্কস্ট্রিট অঞ্চলের কোনো এক স্থানে ছিল মঞ্চ। প্রথম মহিলা অভিনেত্রী হিসেবে নাম শোনা যায় এস্তার লিচের । অভিনয় চলাকালীনই আগুন লেগে যায়। মঞ্চেই আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় এস্তার লিচের। তারপর পশ্চিমবঙ্গের পেশাদারী নাটকের আসর বেশ কয়েক বছর শূন্য হয়ে পড়েছিল। তখন অপেরা দল খোলার সবে তোড়জোর শুরু হয়েছে। ইংল্যান্ডের খোলা মঞ্চে অভিনীত অপেরা দল থেকে বাংলার বিভিন্ন নাট্যদলের নামের শেষে অপেরা শব্দটি যুক্ত হয়েছে। কিন্তু তা পালাগানেই থেমে রইল। বাংলা নাটক যা তিন দিক ঘেরা মঞ্চে অভিনীত হয়, তার শুরু ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় পার করে। তখন পেশাদার মঞ্চ ছিল না। বাংলা নাটকে প্রথম পেশাদার নাটক অভিনয়ের ক্ষেত্রে যিনি সার্থক হয়ে উঠেছিলেন, তিনি গিরীশ ঘোষ। মূলত তাঁরই হাত ধরে বাংলা নাটক পাকাপাকি ভাবে বাংলার মানুষের মন জয় করার কাজ শুরু করেছিল। দীর্ঘ পথ পরিক্রমার পর আজও বাংলার রঙ্গমঞ্চ সমান ভাবে আমাদের আকর্ষণ করে।
মোটামুটি দু ধরনের বাংলা নাটক অভিনীত হয়। পেশাদারী বা ব্যবসাভিত্তিক নাটক ও পরীক্ষা মূলক বাংলার প্রথম স্থায়ী রঙ্গমঞ্চ হিসেবে আমরা স্টার থিয়েটারকেই জানি। শ্রীরামকৃষ্ণের পদধূলি ধন্য স্টার থিয়েটারের প্রথম নাটক গিরীশ ঘোষের - "চৈতন্যলীলা"। এই নাটকে অভিনয় করেছিলেন গিরীশবাবু , বিনোদিনী দাসী,দাশরথী নিয়োগী প্রমুখ। 
এর পরে বাংলার রঙ্গমঞ্চের জগতে নতুন নতুন থিয়েটার হল তৈরী হতে শুরু করলো। মিনার্ভা, রঙমহল, বিশ্বরূপা এদের মধ্যে অন্যতম। বিংশ শতাব্দীর সাতের দশকেও বাংলা রঙ্গমঞ্চের ছিল রমরমা অবস্থা। এর জন্য দক্ষিন কলকাতায় তৈরী হলো তপন থিয়েটার। মধ্য কলকাতায়ে প্রজ্ঞানানন্দ হল। এরই কাছাকাছি প্রতাপ মঞ্চ। 
উৎপল দত্ত, রাসবিহারী সরকার বেশ পরিচিত হয়ে ওঠেন। পাশাপাশি শম্ভু মিত্র, বিকাশ রায়, কমল মিত্র, অসীম কুমার, তৃপ্তি মিত্র, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, সুপ্রিয়া চৌধুরীর মতো চিত্রজগতের শিল্পীরাও মঞ্চে এসেছিলেন। তরুণ কুমার, ভানু বন্দোপাধ্যায়, জহর রায় অন্য স্বাদের অভিনয় করে দেখিয়েছেন বাংলা মঞ্চের দর্শকদের। 
মঞ্চসজ্জায় খালেদ চৌধুরীকে বাংলার নাট্যপ্রেমীরা যেমন বহুদিন মনে রাখবেন তেমনি মনে রাখবেন আলোর জাদুকর তাপস সেনকে। বেশ কিছু নাট্যগোষ্ঠী পরীক্ষা মূলক ও ব্যবসাভিত্তিক নাটক এক সঙ্গে অভিনয় করেছে। এই সব নাটকে অজিতেশ বন্দোপাধ্যায়, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, মনোজ মিত্র, তরুণ কুমার, শাঁওলী মিত্র, শম্ভু মিত্র, তৃপ্তি মিত্র, সরোজ রায়ের নাম উল্লেখযোগ্য।
রিভলবিং স্টেজ বা ঘুর্নায়মান মঞ্চ যখন ঠিকে চালু হলো, বাংলার দর্শক দের কাছে বাংলা নাটকের এক নতুন দরজা খুলে গেল। মিনার্ভায় অভিনীত হলো "কল্লোল", "অঙ্গার"। বিশ্বরূপায় "সেতু", স্টারে "মল্লিকা"। 
ঘুর্নায়মান মঞ্চ এবং আলোর কারুকার্য ও অসাধারণ অভিনয়ে বাংলা নাটকের তখন স্বর্ণযুগ। "অঙ্গার" নাটকে কয়লা খনির ভেতরের দৃশ্য, "সেতু" নাটকে রেল গাড়ির দৌড় , "মল্লিকা" নাটকে মঞ্চে টাক্সির দৌড় এক অবিস্বরনীয় দৃশ্য সৃষ্টি করে দর্শকদের হতবাক করে দিয়েছিল। গত শতাব্দীর পাঁচের দশকের শেষে মানিক তলায় কাশী বিশ্বনাথ মঞ্চে "আন্টনি কবিয়াল" নাটকটি বেশ কয়েক বছর চলে। এর পর নতুন নাটক মঞ্চস্থ করা হলেও ঠিক মতো দর্শক টানতে পারেনি। 
আমার জীবনের প্রথম নাটক দেখা ব্রজেন দের "লাল পাঞ্জা"। এর পর বোঝবার মতো বয়েসে দেখেছিলাম ডি. এল. রায়ের "সাহাজাহান"। আরও পরে যৌবনে দেখলাম "সেতু" । সে এক অসাধারণ নাটক। যেমন নাটক তেমনই আলোর কাজ । সেতুর ওই ট্রেনের দৃশ্য সারা জীবনে ভুলব না। নায়িকা তৃপ্তি মিত্র আত্মহত্যা করতে গেছেন। খবর পেয়ে তাকে ফিরিয়ে আনতে ছুটে গেলেন অসীম কুমার। তৃপ্তি মিত্র রেল লাইনের ধরে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। আধো চাঁদ আকাশে, চার পাশে ভৌতিক আঁধার। রেল লাইনের উপর চাঁদের পরে চক চক করছে। লাইনের পাশে ঝোপের আড়ালে দাড়িয়ে আছেন তৃপ্তি মিত্র। এমন সময় দুরে একটা আলোর বিন্দু দেখা গেল। সেই বিন্দু বড় হতে লাগলো। সোনা গেল দূর থেকে ট্রেনের শব্দ। কিছুক্ষনের মধ্যেই আলো ঠিকরে পরে লাইনের উপর। বিশাল কানাডা স্টিম ইঞ্জিন বিকট গর্জনে এগিয়ে আসতেই নায়িকা ঝাঁপ দিতে গেলেন। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই পেছন থেকে হাত ধরে তৃপ্তি মিত্রকে বুকের কাছে টেনে নিলেন অসীম কুমার। প্রচন্ড বেগে ইঞ্জিনটা বেরিয়ে গেল। একে একে ট্রেনের কামরা গুলি ঝম ঝম শব্দে হল কাঁপিয়ে দেয়। মঞ্চ একটু বাঁ দিকে ঘুরে গেল। দেখা গেল ট্রেনের শেষ কামরার লাল আলো ক্রমশ দুরে মিলিয়ে যাচ্ছে। দর্শকরা হতবাক। এই একটি দৃশ্য দেখবার জন্য সাতবার "সেতু" নাটক দেখেছিলুম। 
মল্লিকা" নাটকে মঞ্চে ট্যাক্সি চলছে। সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় ট্যাক্সির ভেতর দুষ্কৃতিদের হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। এখানেই ছিল তাপস সেনের আলোর জাদু। "অঙ্গার" নাটকে ছিল কয়লা খনির ভেতরের দৃশ্য। কয়লা কাটা, ডিনামাইট ফাটানোর ঘটনা দেখে মনে হচ্ছিল খনির মধ্যে নেমে গেছি। 
যে দল সরকারে থাকে তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে এই দল রেগে যায় । এই ঘটনা আমদের দেশে বিরল নয়। নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে কলম ধরে হিন্দু পেট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক হরিশ মুখার্জিকে কম হেনস্থা হতে হয়নি। সেই সময়ই দীনবন্ধু মিত্রের লেখেন "নীল দর্পণ" নাটক। নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের নির্মম ঘটনা এই নাটকে প্রতিফলিত হয়। তদানীন্তন ইংরেজ সরকার "নীল দর্পণ" নাটকটির প্রদর্শন বন্ধ করেন। বইটি বাজেয়াপ্ত করেন। 
তারপর প্রায় একশ বছর পারে আমাদের স্বাধীন দেশের সরকার মিনার্ভায় প্রদর্শিত "কল্লোল" নাটকটি বন্ধ করার জন্য আড়াল থেকে কলকাঠি নেড়েছিলেন বলে অভিযোগ। উৎপল দত্ত পরিচালিত এই নাটকের বিজ্ঞাপন বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দুইটি বিখ্যাত সংবাদ পত্রিকা তখন "কল্লোলের" বিজ্ঞাপন প্রকাশ বন্ধ করে দেয়। 
নাটক লোকশিক্ষা দেয়, নাটক মানুষের বিবেক বোধ জাগিয়ে তোলে। নাটক সমাজের দাবি আমাদের সামনে তুলে ধরে। সচেতন করে। 
মাঝখানে ভালো নাটকের বড় অভাব দেখা দিয়েছিল। সুখের কথা আবার বাংলার নাটক নতুন করে দর্শকদের মাঝে নিজের অস্তিত্ব জানাতে পারছে। আমাদের বড় আশা বাংলা নাটক তার অতীত ঐতিহ্যকে চিরকালীন করে রাখুক, ধরে রাখুক।

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জন্মদিনে আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা


Happy Birthday : AJITESH BANDHOPADHYAY


Tuesday 29 September 2015

Happy Birthday: ISLA BLAIR


We Pay Our Homage To Lawrence Kasha


Lawrence Kasha was a Tony Award-winning American theatre producer and director, playwright, and stage manager.  Kasha began his Broadway career as a production assistant for Silk Stockings in 1955. He joined the show's national tour as stage manager, then returned to New York City to work in that capacity for "Li'l Abner" (1956), "Whoop-Up" (1958), "Happy Town" (1959), and "How to Succeed in Business Without Really Trying" (1961).
Kasha had directed a season of summer stock productions at the "Colonie Summer Theatre" in Latham, New York in 1959, but his first major directing assignment came in 1962 with Guys and Dolls and The Most Happy Fella at the "O'Keefe Center" in Toronto. He returned to Broadway to share a producing credit with Hal Prince for She Loves Me in 1963, then the following year directed "Bajour" and worked as associate director on Funny Girl, which he directed in the West End when Barbra Streisand took the show to London in 1966, the same year he helmed Show Boat at the "New York State Theater" in Lincoln Center. Three years later he returned to London to direct Ginger Rogers in Mame. n 1978, Kasha adapted the 1954 MGM movie musical Seven Brides for Seven Brothers for the stage. Although the national tour, which he also produced and directed, was a critical and commercial success, the 1982 Broadway staging proved to be a flop, closing after fifteen previews and five performances.
Kasha's playwriting credits include "The Pirate" (1968), "Where Have You Been, Billy Boy" (1969), and "Heaven Sent" (1978).

Showtime 29.09.2015- 30.09.2015.....


Happy Birthday: Darshan Jariwala


Darshan Jariwala is a film, television and stage actor. His Gujarati plays include ‘Hatheli Par Baat Baaki’, ‘Patro Mitro’, ‘Mulraj Mansion’ , ‘Andhalo Pato’,’santu rangilee’ etc.. He acted in a Hindi play ‘Uncle Samjha Karo’ and in English theatre ‘Going Solo 2’ which is known for his finest acting prowess.
His mother,incidentally was a theatre actor. So the art of acting is something that she has gifted Darshan. Theatre is his first love and he has never feared of performing on stage. His first appearance on stage was when he was in the 2nd standard.He has a different world backstage which is just like his second home .

Monday 28 September 2015

আমার চোখে নাট্যমঞ্চ : নাইজেল আক্কারা (অভিনেতা)


সৌমিতা গাঙ্গুলী
মঞ্চেই প্রথম মন খুলে কাঁদতে পেরেছিলেন নাইজেল আক্কারা। আর তার পরের জীবনটা সকলেরই জানা। এই নাটকই তাঁর জীবন পাল্টে দিয়েছে। তাঁর ভাবনা অনেকের অনুপ্রেরণা। সেই ভাবনা তিনি ভাগ করে নিলেন আমাদের প্রতিনিধি সৌমিতা গাঙ্গুলীর সঙ্গে।
মঞ্চে তোমার নতুন পথ চলা শুরু। সেই অর্থে মঞ্চ তোমার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
নাট্যমঞ্চ আমার কাছে প্রাণ। আমার যেটুকু আত্মবিশ্বাস, যেটা নিয়ে আমি বেঁচে আছি তা হল এই অভিনয়। ৯ বছর জেলে থাকার পর সেই চেঞ্জ এবং সমাজের সামনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা, সেগুলি সবই আমি প্রথমবার স্টেজে দাঁড়িয়ে পেয়েছি। আমি যেটা করেছিলাম সেই সময় সেটা ডান্স ড্রামা। প্রথম কখনো মন খুলে যদি কেঁদে থাকি তো সেটাও মঞ্চে। নাট্যমঞ্চ এমন একটা যায়গা যেটার জন্য আমি আমার জীবনে ফিরে আসতে পেরেছি। এখন যেহেতু আমি থিয়েটার করি না, মঞ্চকে আমি খুব মিস করি। তবে আমি নাটক দেখি এবং ভবিষ্যতে আমার নিজের থিয়েটার দল তৈরির ইচ্ছাও রয়েছে। আমি যে অভিনয় করি বা অভিনয় করতে ভালোবাসি সেটা সম্পূর্ণ অন্য একটা টপিক। কিন্তু ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে অভিনয় করতে গিয়েও আমার মনে হয়েছে আমি সেই মঞ্চকে মিস করি।
এখনো নাটক দেখো?
আমি চেষ্টা করি সপ্তাহে অন্তত ১-২ টো নাটক দেখার। দেবশংকর হালদারের অভিনীত যেকোন নাটক আমি দেখি। ব্রাত্যজন-এর নাটক দেখি। এছাড়াও নতুন যে দল গুলি নাটক করছে তাদের নাটক ও দেখতে যাই। নাটকে না একটা প্যাশানের ব্যাপার আছে। এতে স্টেজে কোন রিটেক নেই। সুমন মুখোপাধ্যায়ের নাটক 'ম্যাফিসটু' তে গৌতম হালদারের চরিত্র আমাকে উদ্ভুদ্ধ করে। একটা ডায়ালগ আমার মনে আছে। "আমি তো শুধুমাত্র অভিনেতা, আমি কি করতে পারি।" আজও আমি যখন ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই এটা আমার মাথায় আসে। নাটক দেখে বাড়িতে ফিরেও কিছুদিন সেটা নিয়ে ভাবতে হয়।
‘মুক্তধারা’র আগে তুমি ‘বাল্মিকি প্রতিভা’ করেছ। নাটক, একজন অভিনেতাকে অনেক বেশি পরিণত করে তোলে এমনটাই বলা হয়। সেক্ষেত্রে তোমার কি মনে হয়না যে নাটক করলে নিজের অভিনয় স্বত্তাকে আরও বেশি ঝালিয়ে নিতে পারতে?
মনে হয় এবং করতে চাই -ও। কিন্তু থিয়েটার খুবই টাইম টেকিং। সময়টাই আমার কাছে বড় সমস্যা। আমার নিজেস্ব ব্যবসা আছে। যেখানে ১২০ জন মানুষ কাজ করছেন। তারা অনেকজন ই ফিরে আসা মানুষ। আমার ইচ্ছে আছে তাদের নিয়ে নাটক করব। ওদের দিয়ে অভিনয় করাব। এর সঙ্গে কিছু আইনজীবি ও পুলিশও থাকবেন। তবে কিছু অভিজ্ঞ নাট্য ব্যাক্তিত্বও থাকবেন যাঁরা আমাদের সাহায্যে করবেন।
মঞ্চ আমার জীবন পাল্টেছে। মঞ্চে দাড়ালে আমার এক অদ্ভূত অনুভূতি হয়। সেই মুহুর্তে আমার ভেতর থেকে আওয়াজ আসে "তুমি কি এর জন্য যোগ্য ?".তখনই আমি সিদ্ধান্ত নিই আমি আমার জীবনটা পাল্টে ফেলব।।
এখন যাদের নিয়ে কাজ করছ, তাদের মধ্যে কি কোন নাইজেলকে খুঁজে পেয়েছ?
তারা প্রত্যেকেই নাইজেল। শুধু আমি কেন? সংশোধনাগারের ভিতর যারা রয়েছে, বাইরে এসে কেউ হয়ত অভিনয় করবে, থিয়েটার করবে কিম্বা সংসার করবে। সেও একজন নাইজেল। তাদের ভুলের শাস্তি তারা পেয়েছে, কিন্তু সেটা কাটিয়ে এসে একটা নতুন জীবন তৈরির সুযোগ পাওয়া উচিত। একজন সেই সুযোগ পেয়ে নিজেকে শুধরে নিলে সেও নাইজেল।
এখনকার থিয়েটারের প্রধান সমস্যা হল আর্থিক সমস্যা। পাবলিসিটি-র ক্ষেত্রে বড় দল ভাল করে কিন্তু ছোট দলের ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। আবার কিছু ব্যাক্তির জনপ্রিয়তার কারণেও মানুষ নাটক দেখতে যায়। কর্পোরেট সেক্টরের ইনভল্বমেন্টের প্রয়োজন আছে। আমি নিজে দল বানালে তার মার্কেটিং এর দিকেও লক্ষ্য রাখব।
তোমার সেরা নাট্য ব্যক্তিত্ব যাঁদের অভিনয় তোমাকে অনুপ্রাণিত করে?
গৌতম হালদার, দেবশঙ্কর হালদার, ব্রাত্য বসু, মোহিনী সেনগুপ্তের অভিনয় আমার খুব ভাল লাগে। এছাড়া অনেক নতুন ছেলে মেয়েরাও খুব ভাল কাজ করছে।

We pay our homage on his Death Anniversary


Peesapati Narasimha Murty was a Telugu stage actor.He learned the epics well which helped him to render the poems and dialogues appropriate to the scene with clarity and bhava.He won the prize as best Sri Krishna in the “Akhilandhra Pandava Udyoga Vijayalu” competitions held in 1949 at Guntur and since then acted the role continuously for 40 years. Unlike the other artists who acted as Krishna, he never indulged in long raga aalapana and rendered the padyams with clarity in majestic voice. In between padyams, he created dialogues suitable to that scene that earned appreciation of the audience. Even though he made only short raga, he earned the accolades of the illiterate audience also, which is surprising since they are accustomed to the long winding ragas of other artists as Sri Krishna. He acted throughout the state and all major cities in India. He received many awards including the ‘Kendra Sangitha nataka academy’ award, the only drama artist to get the same. He received puraskaram from Govt of Andhra Pradesh as drama artist. His audio CD is shown in CD section. In his own troupe; he acted as Sri Krishna alone throughout the five scenes of the drama, particularly for the elite audience.

Happy Birthday: Akhilendra Mishra


Saturday 26 September 2015

রিভিউ : 'তিতাস একটি নদীর নাম'


Happy Birthday: Chilakamarti Lakshmi Narasimham


Chilakamarti Lakshmi Narasimham is an Indian playwright, novelist and author of short stories who wrote in the Telugu language. His best-known plays are probably Gayopakhyanam (1909) and Ganapati (1920).His plays could be classified into two categories. The first category is the independent and the original, though the theme was borrowed from the classical and epic poems. The second category is translations from Sanskrit plays.
Some of his original plays are...
Keechaka Vadha – 1889
Droupadi Parinayamu – 1889
Sri Rama Jananamu – 1889
Gayopakhyanamu/Prachanda Yadavam – 1890
Parijatapaharanamu – 1890
Nala Natakamu – 1890
Seetha Kalyanamu – 1890
Prasanna Yadavamu – 1905
Prahlada Charitamu – 1907
Chatura Chandrahasa – 1907
Tilottama – 1907
And his Incomplete Plays are..
Bammera Potana – 1946
Harischandra – 1946.
Parvathi Parinayamu of Bana – 1899, Bhasa Natakachakram – 1909–1927, Dula Vakyamu, Karna Bharamu, Duta Ghatotkachamu, Uru Bhangamu, Madhyama Vyayogamu, Pancha Ratnamu,Pratijna Yougandharayanamu, Swapna Vasavadattamu, Bala Charitamu, Charudattamu, Avimarakamu, Pratima, Abhishekamu etc. Plays were translated from Sanskrit.

Friday 25 September 2015

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর -এর জন্মদিনে আমাদের আভূমিপ্রণত শ্রদ্ধা


১৯৮৭ সালের আজকের দিনেই অর্থাৎ ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমি


সীমান্তের ইতিকথা - ‘তোমার ডাকে’


শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
আমি বরাবরই আমার চারপাশটা একটু ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেখার চেষ্ঠা করি, আমার কাছে পশ্চিমবঙ্গ মানে দার্জিলিং থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর নয়। আমার কাছে আমার শহর, আমার রাজ্য, আমার দেশ গোটা পৃথিবী জুড়ে। তাই যে চিৎকারগুলো বহুদূরে ভাসে, তা আমার কানে তীব্রভাবে বাজে । সেই তাড়না থেকে আমার থিয়েটার করা। আমার বাকি নাটকগুলোর মত ‘তোমার ডাকে’ সেই তাগিদেই সৃষ্ট।
প্রথম পর্যায় 
‘তোমার ডাকে’ নাটকটির প্রাথমিক কাজ শুরু হয় ২০১২ র মার্চ মাসে। রবীন্দ্রনাথের পাঁচটি ক্লাসিক্যাল গল্প যেমন – ‘বিসর্জন’, ‘রক্তকরবী’, ‘ডাকঘর’, ‘অচলায়তন’, ‘মুক্তধারা’ নিয়ে শুরু হয় পথ চলা। চেষ্টা করি পাঁচটি নাটককে কিভাবে এক সুতোয় বাঁধা যায়। কাজটা নিঃসন্দেহে খুব কঠিন ছিল। আসলে এই নাটক গুলির মধ্যে আমি একটাই সুর খুঁজে পেয়েছিলাম। বেঁধে রাখা নিয়মগুলির বেড়া ভেঙে ফেলার ডাক। তৈরী করা নিয়ম যা শৃঙ্খলার পরিবর্তে বিশৃঙ্খল তৈরী করে, তাকে ছিঁড়ে বেড়িয়ে আসার ডাক। এই ক্রাইসিসগুলো আমরা ছড়িয়ে দিতে থাকি গোটা পৃথিবী জুড়ে। যদি বার্লিন ওয়ালকে সামনে রেখে রবীন্দ্রনাথ মুক্তধারা লিখতেন অথবা হিরোসিমার ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে থাকত ডাকঘরের অমল। অথবা ছত্তিশগড়ের কোনো গ্রামে তৈরী হতে থাকে জয়সিংহের মত ম্যাসিস্ট কমরেড। এইভাবে শুরু হয় ভাবনা। সীমানার কাঁটাতার ভেঙে দিয়ে গোটা পৃথিবীর কান্না গুলোর একটা সুর খোঁজার চেষ্ঠা। আমরা নাটকটা শুরু করি মুক্ত আকাশে। গোটা অভিনয়স্থল কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা থাকত।তাতে ছেঁড়া অংশ জুড়ে অনবরত আগুন জ্বলত। সীমানার এপারে আমরা-আর ওপারে দর্শক। একটা সময়ে সবটা মিলেমিশে এক হয়ে যেত। নাটকটি হঠাৎই বন্ধ করে দিই| দর্শক নিতে পারেননি। খানিকটা দুর্বোধ্য লেগেছিল হয়ত...
দ্বিতীয় পর্যায় 
২০১২ – নভেম্বর মাস।হঠাৎ একটা লেখা চোখে পড়ল মালালা ইউসুফজাই কে নিয়ে। মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামসের এই লেখাটা আমায় খুব নাড়া দেয়। তালিবানদের দখলে থাকা পাকিস্তানের একটা ছোট গ্রামে ১০ বছরের একটি মেয়ের লড়াই। তালিবানরা তাকে গুলি করে। সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় সে। তার হাত ধরে পুনরায় বেঁচে ওঠে ‘তোমার ডাকে’র প্লটগুলো। মালালার পদক্ষেপও আমাদের কাছে একটা ডাক। তার পাশে দাড়ানোর। এই সমগ্র ‘তৃতীয় বিশ্বের’ গুমরে থাকা নারীদের পাশে দাঁড়ানোর। অন্ধকার যক্ষপুরী থেকে তাদের মুক্তধারার স্রোতে ভাসিয়ে দেওয়ার ডাক। শুরু হয় ‘তোমার ডাকে’র কাজ। এবার মঞ্চে করার উদ্দেশ্য নিয়েই। গোটা নাটকটা এক অন্য আদলে বাঁধা হয়। কিছু যুদ্ধের প্লট। তার সঙ্গে সমগ্র তৃতীয় বিশ্বের আঙ্গিনায় তৈরী হওয়া হাজারো ভয়ানক পরিস্থিতি যা বাংলার রঙ্গমঞ্চে বসে আঁচ পাওয়া মুশকিল তা উঠে আসে। যেমন – ইরাক যুদ্ধ। জিম্বাবোয়ের খাদ্য সংকট, গুজরাটের বি.এস.এফ ক্যাম্প-এ নারী ধর্ষণ, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ, আন্দামান মুক্তি আন্দোলন, লিবিয়ার সাম্রাজ্যবাদী হানা ইত্যাদি। পাশাপাশি উঠে এসেছে রবীন্দ্রনাথের চরিত্ররা| নাটকের প্রথম শো হয়েছিল আসাম ফেস্টিভালে।
তৃতীয় পর্যায় 
২০১৩ শেষের দিকে এই নাটকটির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে আর্থিক সাহায্য পাই। ২০১৪ সাল - শুরু হয় নতুন ভাবনা। ‘তোমার ডাকে’ নাটকটি এতটাই কনটেম্পরারী যে প্রতিদিন তা পরিবর্তনশীল। নাটকের দিনেও নাট্যাঙ্গ সংযোজন হয়েছে। প্রতিদিন দর্শক নতুন নাটক দেখেছে। গঠন থেকে শুরু করে ঘটনা সবটাই বদলে ফেলি। আমার দলের ছেলেরা নাটকের মধ্যেই বাঁচতে থাকে। চারপাশে ঘটতে থাকা ঘটনাগুলি আমাকে আরো বেশি করে তাড়া করতে থাকে। পশ্চিমবঙ্গে থিয়েটারের সব থেকে বড় শক্তি তার দর্শক – যারা নিজেদের গল্প শুনতেই হলে আসে। ভারতবর্ষের বাইরে তাদের কাছে পৃথিবীটা খুব গুরুত্বহীন। এটা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা দর্শকের পরোয়া করিনি। তবুও দর্শক উঠে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানিয়েছিল। এটাই আমাদের বড় পাওনা।
নাটকে মালালা ‘সূত্রধর’ হয়ে ওঠে। তারই মত তার প্রতিবেশী দেশগুলির লড়াইয়ের কথা বলে দেয় তার জীবন যাপনের মধ্য দিয়ে। উঠে আসে এ এফ এস পি এ –এর অত্যাচার মনিপুরের শর্মিলার কথা, উঠে আসে সিবিয়ার শিশু সন্ত্রাসবাদীদের কথা উঠে আসে ইরাকি বারবনিতাদের প্রতিদিন ধর্ষিত হওয়ার কথা। উঠে আসে মার্কিনী সাম্রাজ্যবাদ, পেন্টাগনের তৈরী হওয়া লালগড় ও ধংসের গন্ধ।
এই নাটকটি করার জন্য আমরা কিছুদিন কথাকলি, কলারী আর ছৌ এর ওয়ার্কশপ করি কারণ বিভিন্ন ফর্মেশনে আমরা নাটকটি দর্শকদের কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছি। কয়েকটি বই যেমন ‘আই অ্যাম মালালা’ ‘রেভলিউশনারী ইরান’ ইত্যাদি। আর বহু নথি-প্রবন্ধ আমায় তৃতীয় বিশ্বকে জানতে সাহায্য করেছে।
এইভাবেই ডাকঘরের অমল হয়ে উঠেছে গাজার এক ঘরছাড়া বালক।
জয়সিংহ এক তালিবানি সন্ত্রাসবাদী।
আর নন্দিনীরা মালালা।
আজও সময়ের সঙ্গ ধরে নাটক ‘তোমার ডাকে’ এগিয়ে চলেছে। যতদিন না আমাদের সমাজ কলুষমুক্ত হয়ে উঠছে, মঞ্চে প্রতিবাদ করব আমরা, এই আমাদের অভিপ্রায়।
ছবি সৌজন্যে : থিয়েটার সাইন ও অশোক নাইয়া

Happy Birthday: Shreela Ghosh


Shreela Ghosh, born on 25 September 1962 in Assam, a former dancer, actress, reporter and theatre personality’.
She worked extensively in theatre, which included work with leading organisations such as Max Stafford-Clark’s Joint Stock Theatre Company where she was also working as Marketing and Publicity Officer. Shreela began her working life as a performer in theatre and on TV. During the 1980s Shreela worked at the ‘Royal Court Theatre’ in London and appeared in acclaimed dramas like ‘The Jewel in The Crown’ (Granada TV). Shreela Ghosh worked as Director (ARTS MANAGER) at ‘PIONEER THEATRES LIMITED’ and as Director at ‘DV8 PHYSICAL THEATRE’. She is publicly known for her cast as ‘Naima Jeffery’ in 1985, one of the original characters in BBC's soap opera, ‘EastEnders’.

Happy Birthday: Catherine Zeta-Jones


Happy Birthday: Bratya Basu


Thursday 24 September 2015

প্রিভিউ : 'স্নেহের ঠাকুরপো'


১৫ আগস্ট, ১৯৪৭ সাল। এই দিনটি আমাদের প্রত্যেকের কাছেই আবেগের, অনুভূতির। ভারতের আকাশকে চুম্বন করেছিল তেরঙ্গা পতাকা। বিমুক্ত ভারতের সেই সুবাসে আজও আমরা স্পন্দিত। এই স্বাধীন ভারতের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে মানুষগুলির একান্ত স্বপ্ন, আকাঙ্খা তথা জীবন নিবেদিত, তাঁদের জানাই আভূমিপ্রনত শ্রদ্ধা। তেমনই এক বিপ্লবী দীনেশ গুপ্ত। 'খেয়ালখোলা' নাট্যদলের আগামী উপস্থাপনা 'স্নেহের ঠাকুরপো' এই স্বাধীনতা সংগ্রামীর জীবনসংগ্রাম তুলে ধরে। নাটকে মাতৃতুল্য বৌদির সঙ্গে দীনেশের সক্ষতা চিত্রায়িত। দীনেশ গুপ্ত কে নিয়ে এর পূর্বে কোনো নাটক মঞ্চস্থ হয়নি। পরিচালক সৌগত চট্টোপাধ্যায় 'উত্তরপাড়া জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরী' এবং 'বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ' থেকে বহু চেষ্টায় খুঁজে বার করেন দিনেশ গুপ্তর লেখা চিঠি গুলি এবং মূলত এই চিঠিগুলির ওপর ভিত্তি করেই দীনেশকে চিনবে নাট্যপ্রেমী দর্শক। আবেগের বশবর্তী হয়ে পরিচালক কোনো অঙ্ক সাজাননি। চিঠিতে যতটা পাওয়া যায় ততটাই। স্কুল ফাইনাল পাশ করার পর দীনেশ তাঁর জীবন নিমগ্ন করেন ভারত মাতার উদ্দেশ্যে। তাই চিঠির মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। দীনেশের লেখা শেষ চিঠি তাঁর বৌদিকে। সেখানে বেদের অনেক উক্তি পাওয়া যায়। মাত্র ১৯ বছর বয়সী এক যুবকের ভাবনার গভীরতা পরিচালককে উদ্বুদ্ধ করেছে আরও বেশি। ফাঁসির দড়ির সামনে মৃত্যুমুখী দীনেশের মুচকি হাঁসি পরিচয় দেয় তাঁর দৃঢ়তার। মঞ্চের দীনেশ ভাবিয়ে তুলবে দর্শককে। 'এক্স আন্দামান পলিটিক্যাল প্রিসনার্স ফ্র্যাটারনিটি সার্কেল'র নিমন্ত্রণে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সূর্যসেন মঞ্চে নাটকটি উপস্থাপিত হবে।

Wednesday 23 September 2015

Happy Birthday: Srijit Mukherji


Srijit Mukherji is an Indian film director, actor, screenwriter as well as an well established THEATRE PERSONALITY. Srijit had been involved with theatre since his days at Jawaharlal Nehru University, where he did his Masters and MPhil in Economics , while working as an economist and statistician, he was actively involved with the English professional theatre circuit in Delhi and Bangalore.He quit his job to actively pursue theatre and films . He has acted in ‘Madness’, adapted from Paulo Coelho's ‘Veronica Decides To Die’; Manoj Mitra's ‘The Orchard of Banchharam’; Badal Sircar's ‘The Other Side of History’; Sunil Ganguly's ‘Pratidwandi’ – The Adversary, adapted for the stage from Satyajit Ray's film of the same name and ‘Lucknow 76’. He wrote and directed ‘Mindgame’, an Indian adaptation of Reginald Rose's ‘Twelve Angry Men’, at the Alliance Francaise De Bangalore in 2006 In Bangalore, after working in different theatre groups, Srijit started his own group Pandora's Act in 2007, whose first production,’Feluda Pherot!’ at ‘Rangashankara’ in July 2008 was a runaway success and was the first ever non-canonical dramatisation of Satyajit Ray's sleuth Feluda. that had Parambrata Chatterjee and Barun Chanda in its cast, was successful enough for him to think of changing his profession. But Srijit was also eyeing the world of celluloid. After hearing about the demand for talented script writers in Bengal from Parambrata, he landed in Calcutta with 10 scripts for films, tele-films and plays. The only play he staged in Calcutta was ‘Checkmate’ in 2009.

Happy Birthday: Madhavan Nair


Monday 21 September 2015

News Of The Day: 'INDIA ON FOCUS'


আমার চোখে নাট্য মঞ্চ :- শ্রীকান্ত আচার্য্য (গায়ক)


শ্রীকান্ত আচার্য্য (গায়ক):
প্রথম বাড়ি থেকে আমাকে নাটক দেখাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রাসবিহারীর মুক্তাঙ্গনে। নাটকের নাম মনে না থাকলেও এটা স্পষ্ট মনে আছে সেই নাটকটি দেখতে দর্শক আসনে ছিলেন প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী অশোকতরু বন্দ্যোপাধ্যায়। তো নাটকের থেকে বেশি অশোকতরু বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দেখেছিলাম । কিন্তু নাটক দেখতে যাওয়া সেটাই প্রথম। আসলে আমাদের পরিবারে নাটক দেখতে যাওয়ার ওরিয়েন্টেশন ছিল না। বাবা - মা নিয়মিত হাত ধরে নাটক দেখাতে নিয়ে যাচ্ছেন এমনটা কখনও হয়নি। সেটা গানের ক্ষেত্রেও একইভাবে প্রযোজ্য। বরং নাটকের প্রতি ভালোলাগা ,ভালোবাসা আমার শুরু হয় স্কুল জীবনে। আমি তখন স্কুলে থিয়েটারে অভিনয় শুরু করি। মনে হয় ভালোই অভিনয় করতাম এবং তার জন্যই ওনারা আমাকে পাঠ দিতেন।
অভিনয়ের প্রতি দুর্বলতাটা আমার এখনও আছে। সেই জায়গা থেকে নাটকের প্রতি ভালোলাগা তো আছেই। নাটক দেখা শুরু হয় আমার স্কুল জীবনে। কিন্তু সেই জন্য অডিটোরিয়ামে গিয়ে নাটক দেখা ব্যপারটা ছিল না। আমি থাকতাম লেক গার্ডেন্স - এ। আমার পাশের পাড়াতেই পূজোর পরে সংহতি ক্লাবে থিয়েটার হত। পাড়ার জাঁদরেল লোকজন অভিনয় করতেন। 'শেষ থেকে শুরু' যে সিনেমাটি আছে সেটি তখন নাটকরূপে দৃশ্যায়িত হয়েছিল। পাড়ার সিনিয়র দাদারা এই নাটকে অভিনয় করেছিলেন। আজও ভুলতে পারিনি সেই নাটক, এতটাই ভাল ছিল সেটি। তারপর দক্ষিন লেকপল্লীর মাঠেই উৎপল দত্ত পরিচালিত 'সাদা পোষাক' যাত্রা দেখলাম। ৭০ দশকের গোড়ার কথা বলছি। তখন কলকাতার রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাব নাটকে প্রতিফলিত হত।
আমি পড়তাম যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলে।এই স্কুলের গায়েই খুব বড় দূর্গা পূজা হত। এই পূজোর পরেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হত। ১৯৭৭-৭৮ সালের কথা বলছি। ওখানে প্রথম 'মারীচ সংবাদ' দেখি। পরবর্তীতে মাইলস্টোনের মত জায়গায় পৌছায় এই নাটকটি। আমি কিন্তু এই নাটকটি অ্যাকাডেমিতে গিয়ে পরে দেখেছি। তখন বিপ্লব কেতন চক্রবর্তী 'মেরি বাবা' চরিত্রে অভিনয় করতেন। থিয়েটার দেখার শুরুটা আমার তবে থেকেই। আকর্ষণটাও জন্ম নেয় সেই সময় থেকেই।
কলেজ ফেস্ট উপলক্ষে বেঙ্গল লিটারেট সোসাইটি থেকে অনেক নাটক হয়েছে। সেখানে অঞ্জন দত্তের মতো মানুষেরাও নাটক দেখতে এসেছেন। এইসব মানুষকে তখন প্রথম সামনে থেকে দেখেছি।
সে সময়ে আমার বন্ধু খরাজ মুখোপাধ্যায়, সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় 'চেনামুখ' জয়েন করে। 'চেনামুখ' আমাদের কাছে সাংঘাতিক একটা রোল মডেলের মত ছিল। রমাপ্রসাদ দা(বনিক)তখন পরিচালনা করেছেন। অনুসুয়া মজুমদারের মত অভিনেত্রী তখন অভিনয় করছেন। সুদীপ্ত, সুব্রতদা (অনুসুয়া মজুমদারের স্বামী), অসিত মুখোপাধ্যায়- এই সমস্ত তারকারা তখন মঞ্চ কাঁপিয়েছেন। 'রানী কাহিনী'- র মত নাটক আমি খুব কমই দেখেছি। ওরা তিনজন এই নাটকটিতে অভিনয় করেছেন।
ও, আর একটা কথা তো বলাই হল না। সেটা হচ্ছে স্কুলে যখন আমি সপ্তম-অষ্টম শ্রেণীতে পড়তাম তখন নান্দীকারের 'ফুটবল' নাটকটি খুব জনপ্রীয় হয়েছিল। বাঙ্গুর পার্কে প্রথম দেখলাম 'ফুটবল' এবং তারপর অজিতেশ বন্ধ্যোপাধ্যায়ের 'সওদাগরের নৌকো'। আমি নির্দ্বিধায় বলছি, অজিতেশ বন্ধ্যোপাধ্যায়ের মত মানুষ, উনি মঞ্চে দাঁড়ালে যে কি ভোল্টেজ তৈরী হতে পারে তা সকলের কল্পনার অতীত। শম্ভু মিত্রের অভিনয় আমি দেখিনি। সেটা আমার দুর্ভাগ্য।
উৎপল দত্ত’র 'টিনের তরোয়াল'র দ্বিতীয় শেষ শো দেখেছি। এটা আমার পরম সৌভাগ্য। এই অভিজ্ঞতা গুলোর কোনো কিছুর সঙ্গেই তুলনা হয়না। আমি পরবর্তীতে অনেক নাটক দেখেছি ,কিন্তু এই ছোটোবেলার স্মৃতিগুলো অনেক বেশি জীবন্ত হয়ে রয়েছে।
এরপর ১৯৮৪ –তে একটা খুব মজার ঘটনা ঘটেছিল। প্রেসিডেন্সি কলেজ ফেস্টিভ্যালে প্রতি বছর কম্পিটিশন হত এবং গানের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় আমি কখনই খালি হাতে ফিরিনি। সে বছর সুদীপ্তর উদ্যোগে ওর লেখা একটা শ্রুতি নাটক 'মুখোমুখি' আমরা পাঠ করি। নাটকের মুখ্য চরিত্রে আমি অভিনয় করি। প্রেসিডেন্সিতে ফেস্টিভ্যালে সেই নাটক আমরা পাঠ করি। আমাদের বিপরীতে ছিল আমাদেরই বন্ধু ইন্দ্রাশিস লাহিড়ি ,মৃনাল প্রমুখরা। রুদ্র বাবু (রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত) বিচারকের ভূমিকায় ছিলেন। ওরা ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং আমরা সেন্ট জেভিয়ার্স। আমাদের মধ্যে খুব হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল। রুদ্রবাবু আমাদের বিজয়ী ঘোষনা করেন। এটা আমার জীবনের খুব বড় অ্যাচিভমেন্ট। এরপর নাটকের প্রতি ভালবাসা আরো বেড়ে যায়।
আমি আর একটা বিষয়ে খুব গর্ববোধ করি যে আমার প্রচুর বন্ধু থিয়েটার করে। চন্দন (সেন), কৌশিক (সেন), শান্তিলাল(মুখার্জী) এরা সকলে সিনেমা, সিরিয়াল এবং থিয়েটারে সমানভাবে অভিনয় করছে। এদের বন্ধু হিসাবে আমি গর্বিত।
এখনও মঞ্চে অভিনয় করতে বেশ একটা লোভ হয়। সুযোগ একবার এসেও ছিল। প্রায় বছর দশেকেরও আগে 'অ্যাপ্স' (অ্যাসোসিয়েশন ফর পারফর্মিং সিঙ্গারস্) -এর সঙ্গে আমি যুক্ত ছিলাম। তাঁদের উদ্যোগে ওয়েলফেয়ার রিলেটেড কাজকর্ম হতো। তখন একটি অ্যাম্বুলেন্স - এর উদ্দেশ্যে আমরা সকলে কোমর বেঁধে নেমেছিলাম। অরিন্দম গাঙ্গুলীর পরিচালনায় 'চলো পটোল তুলি' নাটকটা করেছিলাম। পরবর্তীতে খেয়ালী (দস্তিদার) এবং বেনু দা (সব্যসাচী চক্রবর্তী) এই নাটকটিতে অভিনয় করেছেন। তাতে আমি, ইন্দ্রনীল(সেন), শিবাজী(চট্টোপাধ্যায়), উৎপলেন্দু চৌধুরী , মানসী(সিনহা) সকলে অভিনয় করেছিলাম। নাটকটা প্রথমদিকে আমরা খুব অনিয়মিত রিহার্স করতাম। অরিন্দম অনেকদিন এসে বসে থাকত। লেক রোড - এ 'কনকসাঁঝ' নাম একটি দোকানের কাছে আমাদের রিহার্সাল হত। এদিকে রবীন্দ্রসদনে হল বুক হয়ে গেছে। একদিন অরিন্দম(গাঙ্গুলী) ডেকে আমাদের খুব বকাবকি করে। এরপর রিহার্সাল করে আমরা শেষমেষ নাটকটা মঞ্চায়িত করি। আমার এখনও মনে আছে বাইরে টিকিট ব্ল্যাক হয়েছিল। তারপর যেটা হল সেটা একেবারেই অভাবনীয়। কল শো আসতে শুরু করে। যদিও সেটা আর সম্ভবপর হয়নি। অদম্য ইচ্ছা থাকলেও তা গলার কারণে অবদমিত করেছি।
তবে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো করেই আমি শ্রুতি নাটকে অভিনয় করি। 'চিরকুমার সভা' করেছি অনেকে মিলে। বাইরেও শো করেছি। আটটি শো ইতি মধ্যে হয়ে গেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে প্রচারের অভাবে অনেকে জানতেই পারেনি যে আমরা এরকম একটা প্রোডাকশন করেছি। বিভাস চক্রবর্তী, জগন্নাথ বসু, উর্মী বসু, লোপামুদ্রা মিত্র ও আমি এতে অভিনয় করেছি। এই আমার নিজস্ব নাটকের সঙ্গে সম্পর্ক।
যতদিন যাচ্ছে মানুষের এক্সপোজার তত বাড়ছে। এখানে একধরনের থিয়েটার হয়ে আসত। উত্তর কলকাতার কমার্শিয়াল থিয়েটার থেকে বেড়িয়ে এসে একটা আন্দোলন হল। সেই নিয়ে তর্কও হল অনেক। সে থাকুক। ... কিন্তু তাতে বাংলার বর্তমান নাটকের যে চিত্র তাতে আখেরে লাভই হয়েছে।
বাংলার কমার্শিয়াল থিয়েটারের যে সুদীর্ঘ ইতিহাস আছে তা নিয়ে আমি কি বলব, তা যাঁরা গবেষনা করেছেন তারা জানেন। কলকাতাতে নাটকের যা ইতিহাস কোথাও গিয়ে পরবর্তিতে তা বিলীন হয়ে যায়। তার অনেক কারণ থাকতে পারে। আমি এক সময়ে 'সারকারিনা', 'রঙমহল'-এ থিয়েটার দেখেছি। ভানু বন্ধ্যোপাধ্যায়, সন্তোষ দত্তের অসাধারণ অভিনয় দেখেছি। সেগুলো আর সম্ভবপর নয়। তবে বর্তমানে অ্যাকাডেমিতে ঘিরে নাটকের একটা পরিমন্ডল তৈরী হয়েছে। যাঁরা নাটকের সঙ্গে যুক্ত আছেন, তাদের বেশির ভাগ মানুষেরই অভিযোগের যায়গা - নাটকের পরিকাঠামো, সুযোগ সুবিধার অভাব।
একটা হাই ওয়ে বানাতে গেলে দশ বছর সময় লাগতে পারে, কিন্তু সেটার ওপর দিয়ে ২০০ বছর মানুষ চলাচল করবে। কিন্তু আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা সেই দিকে মনোনিবেশ করতে চান না। তাতে তাদের ভোট পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকে না যেহেতু। সেইরকম থিয়েটার স্টেজের একই অবস্থা। দরকার নেই ১০০০ দর্শকাসনের থিয়েটার হল বানানোর, তার বদলে যদি ২০০-৪০০ দর্শকের জন্যও থিয়েটার দেখার ব্যবস্থা থাকে কিন্তু, সেটা যেন ঠিকঠাক হয়। তার মেক-আপ রুম, লাইট, বাথরুম, এমারজেন্সি এক্সিট এগুলি যেন ব্যবস্থাপূর্ণ হয়। শুধুমাত্র কলকাতাতেই নয়, মফঃসলের ছোট হলগুলিতেও যেন সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেখানকার ছেলে মেয়েগুলিকে যেন কপাল চাপড়াতে না হয়, যে আমাদের কলকাতায় নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে না বলে সেটি কেউ দেখছেন না। আমার সৌভাগ্য হয়েছে কয়েকবার ব্রডওয়েতে থিয়েটার দেখার। তার স্টেজক্রাফ্ট, লাইট দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। এর কোটি ভাগের এক ভাগও এখানে প্রদর্শিত হয় না। এই সুযোগ সুবিধা আমাদের এখানকার নাট্যকর্মীরা পেলে অনেক ভালো কাজ হতে পারে। আমি 'অঙ্গার' দেখিনি, 'চার অধ্যায়' দেখিনি, 'ব্যারিকেড' দেখিনি কিন্তু শুনেছি ভাঙা টিনের কৌটো দিয়েও লাইট তৈরী করেছেন তাঁরা।
কিন্তু নাটক করা কেউ বন্ধ করেনি। কলকাতার বাইরে মফঃসলে যেভাবে নাট্য চর্চা হয় তা অতুলনীয়। বালুরঘাটে হরিমাধব ভট্টাচার্যকে ঘিরে নাট্য চর্চা গড়ে উঠেছে। হাবরা অশোকনগর এই সমস্ত যায়গায় অসাধারণ কাজ হচ্ছে। তারা কি সব রাজা উজিরের সন্তান? তা নয়। তারাও ক্রাইসিসের মধ্যে আছে। কিন্তু আমার যেটা মনে হয় তারা এই যে ক্রাইসিসের মধ্যে আছে, সেই জন্যই হয়ত প্যাশন দিয়ে থিয়েটারটা চালিয়ে যাচ্ছে। এই জায়গা থেকে আমি তাদের টুপি খুলে সেলাম করি। ওই যে তাদের দেওয়ালে সারাক্ষণ পিঠ লেগে আছে, তা সত্ত্বেও শুধুমাত্র অভিনয় দিয়ে তারা সবটা পুষিয়ে দেয়।
সব থেকে বড় কথা, সকলের মতামত আলাদা হওয়া দরকার। সকলে যদি একই সুরে কথা বলতে থাকে, তখনই বুঝতে হবে কিছু একটা গন্ডগোল আছে। কেউ নাটকের মাধ্যমে প্রতিবাদ করলে, অপরজনও পাল্টা নাটক করে প্রতিবাদ করুক। এতে নাটকই সমৃদ্ধ হবে। আমরাও ভালো নাটক দেখতে পাবো। এর আগে মতবিভেদ কি ছিল না! কিন্তু তাঁরা কি কখনও নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করেছেন? পরস্পরবিরোধী নাটক করেছেন? আমার তো মনে হয় করেননি। আর করেননি বলেই হয়তো একই সময়ে দাঁড়িয়ে নাটককে জয় করেছেন। সেটাই হোক। 'ওকে হল দেব আর তাকে দেব না' - এগুলো বন্ধ হোক।
কলকাতার নাটকের স্থানটা অনেক বড়। আমার এটা ভেবে ভালো লাগে যে গৌতম হালদারের নাটক থাকলে রবিবার দুপুর ৩টের শো-ও পর্যন্ত হাউস ফুল থাকে। থিয়েটারপ্রেমী মানুষজন ঠিক খবর রাখেন কোথায় কি হচ্ছে। আমরা যে খুব আরাম করে নাটকটা দেখতে পাই তেমনটাও নয়। কিন্তু সেই কষ্টটা আমরা মেনে নিই।
অনুলিখন : সৌমিতা গাঙ্গুলী
ছবি : অশোক নাইয়া

Showtime From 21.09.2015- 26.09.2015...


Tuesday 15 September 2015

News Of The Day : নাটক 'সুন্দর বিবির পালা' একবছর পর পুনরায় মঞ্চে


PREVIEW: 'WINE FLUE'


'WINE FLUE', a play directed by Amitava Dutta and written by Udaynil Bhattacharya is a story about success of Zarda Plus (brand of alcoholic drink), towards socializing alcohol. Samriddha Choudhury, employs an infamous private detective agency, wants to extend their business in distilleries. He launches a brand of alcoholic drink –Zarda Plus. His wine smells like zarda, to avoid any social repercussion. Samriddha, with his secretary Ditipriya, invites the famous politician Kishalay in the inauguration of the brand. Kishalay is provided with an escort service. Finally a symbiosis is processed among the businessman, the intellectual and the politician to popularize the brand. The whole city is now addicted with alcoholism. Even the children are not safe from this habit. In this situation Sukshma and Sutanu, the Holmes and Watson of private detective agency of Samriddha Choudhury, and Mala-their landlady decide to stand against this conspiracy. The play will be Premiered on September 19, 2015 Tapan Theatre, 6:30 p.m.

Showtime From 15.09.2015- 20.09.2015...


Thursday 10 September 2015

News Of The Day: Enigmatic ‘Indrani’ - First Time On Indian Stage


Happy Birthday: Colin Andrew Firth


Happy Birthday: Atul Kulkarni


Atul Kulkarni A veteran theatre persona, famous for his role of 'Gandhi' in the critically and commercially acclaimed play ‘Gandhi Viruddh Gandhi’ in December 1995,which gave him 8 Best Actor Awards for the year 1996. It is a record in Marathi Professional Theatre.. Kulkarni's first stint with stage was during his high school days. Later Atul initiated into acting with college plays .He joined ‘Natya Aradhana’, an amateur theatre group from Solapur. He won the award for best actor for Marathi play ‘Chapha’
(1988-89), he stood first in the finals of the statewide competition, beating over 40 other plays. Subsequently, he directed and acted in ‘Apan Sarech Ghodegaokar’ in 1991, which went on to win the awards for the best actor and director, and stood first in Maharashtra. Atul Kulkarni holds a postgraduate diploma in dramatic arts from ‘National School of Drama’, New Delhi from 1992 to 1995.
According to him – “Theatre is unlike any other medium. It's all about repeated performances and new beginnings. Each show is a new day. In Marathi, we call a play aprayog, which means an experiment.
Theatre is a complete experience. It's an incredible challenge to sustain one's intensity and energy for a continuous period of two-three hours. Though the basics of acting don't change between mediums, the technicalities do. In cinema, you can move the audience from location to location and keep them entertained. But in theatre, you have to hold their attention solely on the basis of performances and pace.”

Happy Birthday: Anurag Kashyap


Happy Birthday: Sukumar Roy