Wednesday, 29 July 2015

সুদীপা মুখোপাধ্যায়: আমার চোখে নাট্যমঞ্চ


সুদীপা মুখোপাধ্যায় (চিত্র নাট্যকার ও সঞ্চালক)
আমার বড় হয়ে ওঠা থিয়েটারের পরিবেশের মধ্যে । আমার দুই দাদাই থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। 
তাদের কাছে থিয়েটারের গল্প শুনতাম, তাদের থিয়েটার দেখতে যেতাম। আমি নিজেও থিয়েটার
করতাম। আমাদের স্কুলেই গ্রুপ থিয়েটারের দল ছিল সেখানেই নিয়মিত থিয়েটার করতাম। তারপরে
 আমি নিউজ এ চাকরি পেলাম। এরপর একটা মেগা সিরিয়ালে অভিনয়ের সুযোগ পাই। তখন
কীভাবে অভিনয় করব (পেশাগতভাবে) সেটা আমাকে শিখতে হতো। সেইসময় আমি বাবান দার
(কৌশিক সেন) স্বপ্নসন্ধানীতে কিছুদিন ছিলাম। সেখানে আমি শিখতাম মানে আমি শিখতেই গিয়েছিলাম,
রিহের্সালে থাকতাম, ব্যাকস্টেজে কাজ করতাম। জিনিসপত্র নামানো, স্টেজ করা এই সমস্ত কাজ।
স্বপ্নসন্ধানী কেন যে কোনো দলেই এতো সহজে কাজ পাওয়া যায় না , প্রথমে ব্যাক স্টেজেই কাজ করতে হয়।
স্টেজ ঝাঁট দেওয়া, নাটকের পোশাক ইস্ত্রি করা, মঞ্চ সাজানো, মেক আপে সাহায্য করা - এইসবই করতে হয়।
এগুলো করতে করতেই এক দেড় বছর কেটে যায়। দেখতাম কীভাবে বাবানদা, কাঞ্চনদা একটা চরিত্রকে
নিজের মধ্যে নেয়। স্বপ্নসন্ধানী আমার ভীষণ প্রিয় দল। বাবানদা আমাকে খুব সাহায্য করেছে। উনি আমার
গুরু বলা যেতে পারে। আমি যেটুকু কথা বলতে পারি বা ক্যামেরার সামনে সাবলীল হতে পারি সবটাই
বাবানদা এবং পরিচালক অনিন্দ্য ব্যানার্জীর জন্য। এছাড়াও আমার পাশে এতো বড় বড় অভিনেতা
অভিনেত্রীরা কাজ করত তাদের দেখে দেখে শিখেছি। যাই হোক এরপর আমি টেলিভিশনে কাজ করতে
শুরু করি। আর একবার টেলিভিশনে কাজ শুরু করে দিলে থিয়েটার কাজ করা খুব কঠিন হয়ে যায়।
আর আমি একজন চিত্র নাট্যকার, তাই থিয়েটারের ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল বলে সুবিধা হয়েছে। যেমন স্ক্রিপ্ট
লেখার কাজ তারপর একটা চরিত্র আর একটা চরিত্রের মতো কথা বলে না, তাদের কথা বলার নমুনা
আলাদা হয় সেগুলো আমার বুঝতে সুবিধা হয় যেহেতু আমি থিয়েটারের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলাম।
আর আমি নিয়মিত থিয়েটার দেখি বলতে স্বপ্নসন্ধানীর সব কাজ দেখি, ব্রাত্যদার কাজ দেখি। তবে
সমস্ত নাটক যে দেখা হয় তা নয়, কোনোটা হয়তো শুনলাম ভালো হয়েছে, গিয়ে দেখলাম। এই তো
ব্রাত্যদার 'রুদ্ধসংগীত' নাটকটির ১০০ দিন যে হলো সেটার স্পনসর আমরাই ছিলাম। এছাড়া অগ্নির
(পরিচালক এবং প্রযোজক - অগ্নিদেব চ্যাটার্জী) সঙ্গে যাওয়া মানে নিমন্ত্রণ পেলেই যাওয়া হয়। এখন
তো বেশির ভাগ সময় মুম্বাইতে থাকি। তাই আর সময় হয়ে ওঠে না। তবে এই সম্প্রতি একটা ইংলিশ
নাটক দেখলাম। পূরব কোহলির একটি নাটক। উনি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। খুব সুন্দর নাটক,
বেশ ভালো লাগল।
আমি যেহেতু থিয়েটার করতাম, থিয়েটারের পরিবেশে এবং থিয়েটারের মানুষজনকে ঘিরে বড় হয়েছি
তো থিয়েটার আমার খুব পছন্দের এবং ভালোবাসার জায়গা।

অনুলিখন : রেশমী পাল


No comments:

Post a Comment